শালধর মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়), যা ফেনির পরশুরাম উপজেলার শালধর বাজারে অবস্থিত, তার স্থাপনা ও ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস
বিদ্যালয়ের EIIN নম্বর ১০৬৬৭৬
এটি একটি অধিকারভিত্তিক ও সরকার অনুমোদিত বেসরকারি স্কুল, যা পরবর্তে MPO (মেডিকেল ও শিক্ষা বোর্ড)ভুক্ত ও জাতীয়করণের স্বীকৃতিও পেয়েছে প্রতিষ্ঠার বছর: ১ জানুয়ারি ১৯৬৯
অর্থাৎ, ১৯৬৯ সালের শুরু থেকেই এটি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাপক অবদান রেখে আসছে। এই প্রতিষ্ঠা মূলত স্থানীয় সমাজসেবী ব্যক্তিদের উদ্যোগে গড়ে ওঠে, যারা ভৌগোলিকভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় পড়াশোনার সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন।
এর পটভূমি হিসেবে বলা যায় যে, স্থানীয় জনসাধারণ ও দাতা‑সমাজের চেষ্টায় বিদ্যালয়টি ক্রমে জমে ওঠে। যদিও স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠাতা বা দাতার নাম পাওয়া যায়নি ওয়েবসাইটে, স্থানীয়ভাবে এটি হতে পারে মোহাম্মদ আলী নামের কোনো বৌদ্ধিক বা দানশীল ব্যক্তির উদ্যোগে (নাম থেকে ধারণা) গড়ে উঠেছে।
মূল তথ্য এক নজরে
বিষয় বিবরণ
প্রতিষ্ঠার তারিখ ০১ জানুয়ারি ১৯৬৯
অবস্থান শালধর বাজার, পরশুরাম উপজেলা, ফেনি জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ
EIIN নম্বর ১০৬৬৭৬
ধরন বেসরকারি — সরকার অনুমোদিত, MPO ভুক্ত ও জাতীয়করণপ্রাপ্ত
পাঠদান স্তর মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত (Class I–X)
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও লক্ষ্য
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে শিক্ষা ছিল ব্যাপকভাবে অবহেলিত। এমন একটি সময় স্থানীয় দানশীল সমাজ ও সমাজসেবকদের প্রচেষ্টায় স্কুলটি গড়ে ওঠে। মূলত লক্ষ্য ছিল:
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে গ্রামীন শিক্ষার মান উন্নয়ন করা
মেয়েদের শিক্ষা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও তালিমের সুযোগ বৃদ্ধি করা
মাঠ‑পরিসরে শিক্ষা পৌঁছানো যেখানে সেই সময় কেন্দ্রীয় শহর থেকে দূরে ছিল মান‑গড়ার সুযোগ
এই প্রেক্ষাপটেই পরে বিদ্যালয় জাতীয়করণের মাধ্যমে সরকারিভাবে স্বীকৃত ও শিক্ষা অধিদপ্তরে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।